সাফল্যের কথা
জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহায়তায় খুঁজে পাওয়া গেল সাইফি মাহিম ইসলামকে
গত ২৬শে জুন, ২০২৫ তারিখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার অন্তর্গত রঘুনাথপুর কালদিঘির বাসিন্দা সাইফি মাহিম ইসলাম (পিতা: সরিফুল ইসলাম, মাতা: মুনমুন সরকার) প্রাণসাগর আদর্শ একাডেমি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়।
রাতভর খোঁজাখুঁজির পরেও পরিবারের সদস্যরা কোথাও তার সন্ধান পাননি। আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতদের বাড়িতেও খোঁজ নিয়েও কোনো খবর মেলেনি। ফলে পরিবারের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়।
পরদিন সকালবেলা বিষয়টি জানানো হলে আমি, গোলাম রাব্বানী, অধিকার মিত্র (PLV), জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ, দক্ষিণ দিনাজপুর – সঙ্গে সঙ্গে থানায় মিসিং ডায়েরি করার পরামর্শ দিই ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিই।
২৭শে জুন যখন পরিবারের লোকজন ডায়েরি করতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় এক আনন্দ সংবাদ আসে—একজন ট্যাক্সিচালক সাইফিকে কলকাতায় পেয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ পরে তাকে কলকাতা শিশু সুরক্ষা কমিটির (CWC) কাছে হস্তান্তর করে এবং তাঁরা সাইফিকে পুটারি হোম-এ রাখেন।
সংবাদটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইফির পরিবার ও আমি যোগাযোগ করি আমাদের সুপরিচিত মাননীয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি উদয় কুমার মহাশয়ের পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার বাবুন দাস মহাশয়ের সঙ্গে। তিনি দ্রুত বিষয়টি কলকাতা CWC-এর সঙ্গে সমন্বয় করে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করেন এবং অভিভাবকদের জানান।
এরপর আমি যোগাযোগ করি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির সম্মানীয় সদস্য সুরজ দাস মহাশয়ের সঙ্গে। তিনি আন্তরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়। রিপোর্ট যাচাইয়ের পর কলকাতা শিশু সুরক্ষা কমিটি সাইফিকে তাঁর অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করে।
অবশেষে সাইফি মাহিম ইসলাম নিরাপদে ফিরে আসে। অভিভাবকগণ আনন্দে আপ্লুত হন এবং জেলার সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
🙏 কৃতজ্ঞতা প্রকাশ:
আমি, গোলাম রাব্বানী,
অধিকার মিত্র/পি.এল.ভি,
জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ, দক্ষিণ দিনাজপুর
অত্যন্ত গর্বিত যে, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের অংশ হিসেবে এই মানবিক কাজে অবদান রাখতে পেরেছি। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই—
মাননীয় বিচারপতি উদয় কুমার মহাশয়ের PSO বাবুন দাস মহাশয়কে।
দক্ষিণ দিনাজপুর শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্য সুরজ দাস মহাশয়কে।
যাঁদের নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় একটি শিশুকে সুরক্ষিতভাবে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
সতত মানবিকতাই আমাদের পথপ্রদর্শক।
সকলকে ধন্যবাদ।
গোলাম রাব্বানি