*(সাফল্য কথা)*
জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার ফলে কুতুরি রায় লক্ষীর ভান্ডারের টাকা পেতে শুরু করলো ----
---------------------
দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের বাসুরিয়া জিপি, র দৌলতপুরের বাসিন্দা অসহায় বিধবা কুতরি রায় চোঁখ দিয়েও কম দেখতে পান । সরকারি সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে অবগত নন । অতি কষ্টে সাহায্য চেয়ে দিন যাপন করে চলছিলেন, কিন্তু কোনো সময়ে সাহায্য পেতেন আবার কোনো সময়ে সাহায্য পেতেন না । না খেয়ে প্রচন্ড কষ্ট করে দিন যাপন করে চলছিলেন । যেহেতু চোঁখে কম দেখতে পান তাই দুরে গিয়ে সাহায্য চাইতে সম্ভব হতনা ।
অঙ্গনওয়ারি সেন্টারে গিয়ে কখনো খাওয়ার চেয়ে খেতো, কখনো আবার কিছু দোকানদার খাওয়া দোকান থেকে সাহায্য করতেন ।
সরকারি সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না বা কেউ সহায়তার আশ্বাস বা হাত বাড়িয়ে দেয় নি ।
দক্ষিন দিনাজ পুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের পরিষেবা গুলো প্রচার করতে বিষয়টি আমার নজরে পড়ে ।
আমি প্রথমে দুঃখের কথা শুনে হতবম্ব হয়ে যাই ।
কুতুরি রায় বিধবা হলেও স্বামীর মৃত্যুর সার্টিফিকেট নেই , এই অবস্থায় বিধবা ভাতা করা কঠিন ।
ব্যাংক এর একাউন্ট ছিল না । ব্যাংক এ যোগাযোগ করে একাউন্ট করে দিয়ে গঙ্গারামপুর ব্লকের সঙ্গে আধার কার্ড সহ মহিলা কে যোগাযোগ করি ।
বিডিও সাহেব গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য অনুরোধ করি লক্ষীর ভান্ডার করে দেওয়ার জন্য ।
আজ 03- 08 -2024 তারিখে বাড়ি বাড়ি জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের পরিষেবাগুলো জানানোর প্রচারে গিয়ে খোঁজ নিয়ে কুতুরি রায় কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাংক এ নিয়ে যাই । ব্যাংক গিয়ে পাশ বই আপডেট করে জানা যায়
সরকারি লক্ষির ভান্ডারের টাকা কুতুরি রায় এর একাউন্ট এ টাকা টাকা ঢুকে গেছে । টাকা তুলে হাতে পেয়ে কুতুরি রায়
প্রচণ্ড খুশি এবং জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ কে ধন্যবাদ জানালেন।
অসহায় কুতুরি রায় এর টাকা পাওয়ার খবর গ্রামবাসী জানার পর প্রতিবেশী, গ্রামবাসী জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এর এই কাজের জন্য আনন্দিত ও ধন্যবাদ জানালেন ।
সরকারের সুযোগ সুবিধা পেতে সহযোগিতা কারি হিসাবে একান্ত প্রচেষ্টা ও সেই প্রচেষ্টায় সাফল্য লাভ কারি
আরিফুল ইসলাম
( পি এল ভি )
জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ,
দক্ষিণ দিনাজপুর।
জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ,
দক্ষিণ দিনাজপুরের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত ও অভিভূত।